[গান]
সাবন্তী সারং – তেতাল
মেঘ-বিহীন খর-বৈশাখে
তৃষ্ণায় কাতর চাতকী ডাকে।।
সমাধি-মগ্না উমা তপতী
রৌদ্র যেন তাঁর তেজঃজ্যোতি
ছায়া মাগে ভীতা ক্লান্ত কপোতী–
কপোত-পাখায় শুষ্ক-শাখে।।
শীর্ণা তটিনী বালুচর জড়ায়ে
তীর্থে চলে যেন শ্রান্ত পায়ে।
দগ্ধ-ধরণি যুক্ত-পাণি
চাহে আষাঢ়ের আশিস-বাণী।
যাপিয়া নির্জলা একাদশীর তিথি
পিপাসিত আকাশ যাচে কাহাকে।।
হরপ্রিয়া। কী লো নীলাম্বরী!
একদৃষ্টে মোর পানে চেয়ে
মৃদুমন্দ হাসি – কী হেরিস্ অমন করিয়া?
দেখেছিস তুই বুঝি পিনাকপাণিরে?
নীলাম্বরী। হুঁ! দেখিয়াছি শিবে শিবানীর সাথে।
হরপ্রিয়া। শিবানীর সাথে? সে কোন শিবানী?
নীলাম্বরী। যে শিবানীর একরূপ হ্লাদিনী রাধিকা।
যে শিবানী গোলোকে রাধিকা,
শিবলোকে হরপ্রিয়া
বৈকুন্ঠে কমলা
বৃন্দাবনে তিনিই শ্রীমতী হয়ে নীল শাড়ি পরি
নীল যমুনার তীরে করিছেন লীলা!
No comments:
Write comments