চতুর্দশ খণ্ড
[অনুরাধার গীত]
সজনী আজু শমন দিন হয়।
নব নব জলধর চৌদিকে ঝাঁজিল
প্রাণ দেহে নাহি রয়॥
বরষিছে পুনঃপুনঃ অগ্নিদাহন যেন
জানিনু জীবন লয়।
[বিদ্যাপতির গীত]
বিদ্যাপতি কহে শুন শুন লছমী
মরণে মিলন মধুময়॥
লছমী।
কে? বিদ্যাপতি?
বিদ্যাপতি।
লছমী? তুমি?
অনুরাধা।
হ্যাঁ, ঠাকুর! আমি নিয়ে এসেছি তোমার জীবন-মরণের সাথি লছমীকে। পবিত্র সুরধনী-ধারায় স্নাত হয়ে তোমরা উভয়ে হলে নির্মল, তাই তো মা পতিতপাবনীর কোলে হল তোমাদের চিরমিলন।
[গীত]
শেষ হল মোর কাজ, হে কিশোর! আমারে লহো এবার।
লছমী।
অনুরাধা! সখী! কোথায় চলছিস তুই? তুই কি আমাদের ছেড়ে এমনি দূরে দূরেই ভেসে যাবি।
অনুরাধা।
লছমী! সখী! আমি যেন জন্মে জন্মে কালস্রোতে ভেসে এমনই যুগল মিলন দেখে মরতে পারি।
[গীত]
তোমার যাহাতে সুখ তাহে আমার সুখ
সুন্দর মাধব হমার!
কোটি জনম যেন তুহার সুখের লাগি
ডারি দেই এ জীবন ছার॥
No comments:
Write comments