শতাক্ষী
নীলোৎপল-নয়না নীলবর্ণা শাকম্ভরী।
শত চোখে শতনীল পদ্ম ফুটিয়াছে মরি মরি।।
দয়াময়ী মা-র কর-পল্লবে
ফলমূল ফুল পল্লব শোভে,
ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও জরানাশিনী
মহাদেবী বিষহরি।।
দারুণ দৈন্য দুর্ভিক্ষ ও অনাবৃষ্টির কালে
এই জননী আমার শতাক্ষীরূপে শস্যে বৃষ্টি ঢালে।
নাশি দুর্গম দৈত্যে জননী
হলেন দুর্গা দুষ্টদমনী,
ইনিই পার্বতী বিশোকা চণ্ডী কালী পরমেশ্বরী।।
দেবী পুনরায় বলিতেছেন–
যখন অরুণ নামক অসুর ত্রিলোকের অতিশয় পীড়া উৎপাদন করিবে, তখন আমি ত্রৈলোক্যের মঙ্গলের জন্য অসংখ্য ষট্পদবিশিষ্ট ভ্রমর-মূর্তি ধারণ করিয়া ওই মহাসুর নিহত করিব – তৎকালে সকলেই আমাকে ‘ভ্রামরী’ বলিয়া স্তব করিবে।
No comments:
Write comments