Search This Blog

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Sunday, December 11, 2016

সুরা তকভীর

সুরা তকভীরতকভীর : আবরণ।


শুরু করিলাম শুভ নামেতে খোদার,


করুণা-আকর যিনি দয়ার আধার।


  


সংকুচিত হয়ে যবে সূর্য যাবে জড়ায়ে,


তারকা সব পড়বে যখন ইতস্তত ছড়ায়ে,


পর্বত সব সঞ্চারিয়া ফিরবে যখন (ধূলির প্রায়),


পূর্ণগর্ভা উটগুলিরে দেখবে না কেউ উপেক্ষায়,


বেরিয়ে আসবে বুনো যত জানোয়ারেরা বেঁধে দল,


হবে প্লাবন-উদ্‌বেলিত যখন সকল সাগর-জল।


আত্মা হবে যুক্ত দেহে। জ্যান্ত পোঁতা কন্যাদের


পুছব যখন কোন দোষে বধ করছে পিতা তোদের?


যখন খোলা হবে সবার আমলনামা; সেই সেদিন


জ্বলবে দোজখ ধুধু, হবে আকাশ আবরণ-বিহীন,


জানবে সেদিন প্রতি মানব, সাথে সে কী অনল তার!


শপথ করি ওই চলমান আর স্থিতিশীল তারকার,


রাত্রি যখন পোহায় এবং উষা যখন ছায় সেদিক,


শপথ তাদের, মহিমময় রসুলের এ বাণী ঠিক।


আরশ-অধিপতির কাছে প্রতিষ্ঠা তাঁর, সেই রসুল


বিশ্বস্ত, সম্মানার্হ, শক্তিধর, ধরায় অতুল।


পাগল নহে তোমাদের এই সহচরী, সাক্ষ্য দিই,


মুক্ত দিগন্তরে জিব্রাইলজিব্রাইল : স্বর্গের দূত। দেখেছেন সে তিনিই।


অদেখা যা দেখেন ইনি ব্যক্ত করেন তখন তাই,


বিতাড়িত শয়তানের এ উক্তি নহে (কহেন খোদাই)।


তোমরা যবে অতঃপর কোন সেদিকে? বাণীতে


– যাহা কই,


বিশ্ব-নিখিল-শুভ তরে নয় তো এ উপদেশ বই!


এই উপদেশ তাহার তরে, তোমাদিগের মাঝ হতে


চলিতে যে চাহে আমার সুদৃঢ় সরল পথে।


নিখিল-বিশ্ব-অধিরাজের ইচ্ছা না হয় যতক্ষণ,


তোমরা ইচ্ছা করতে নাহি পারবে জানি ততক্ষণ।

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !