Search This Blog

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Sunday, December 11, 2016

সুরা নাজেয়াত

সুরা নাজেয়াতনাজেয়াত : ধনুকধারিগণ।


শুরু করি লয়ে পূত নাম সে খোদার


  যিনি চির-দয়াময় করুণা-আধার।


  


তাদের শপথ পূর্ণ-বেগে টানে যারা(ধনুর্গুণ)


তাদের শপথ ছুটে (যে শর) তীব্র সে গতি-নিপুণ।


তাদের শপথ পূর্ণবেগে যারা সন্তরণকারী,


দ্রুতবেগে অগ্রগামী (অশ্ব যে) প্রমাণ তারই।


করে যারা সব বিষয়ের ব্যবস্থা তাদের প্রমাণ।


কম্পনের সে পরে যেদিন ধরা হবে কম্পমান,


কত সে অন্তরাত্মা সেদিন হবে ঘন-স্পন্দিত,


দৃষ্টিগুলি তাদের সেদিন হবে অবনমিত।


বলছে তারা (ব্যঙ্গসুরে) ‘আমরা কি গো পুনর্বার


জীর্ণ অস্থি হবার পরেও পূর্বজীবন পথে আর


(বিতাড়িত হব)। ওহো, তবে বড়োই ক্ষতিকর


হবে তো সে জীবন পাওয়া।’ একটি মাত্র তাড়নায়


প্রান্তর-ভূমিতে তারা অমনি হাজির হবে, হায়


তোমার কাছে পৌঁছেনি কি মুসার সেই সে বিবরণ?


তাহার প্রভু যখন তারে করিলেন সেই সম্বোধন


পূত ‘তোওয়া’ প্রান্তরে ‘ফেরাউনের’ বরাবর,


উচ্ছৃঙ্খল হয়েছে সে। বলবে তারে অতঃপর, –


‘তুমি পাক হতে কি চাও? দেখাইয়া দিই তোমায়


তোমার প্রভুর দিকের পন্থা, চলবে হে ভয় করে তায়।’


(পরে) মুসা দেখাল তায় শ্রেষ্ঠতম নিদর্শন,


সে সত্যরে মিথ্যা বলে লইল না তা (ফেরাউন)।


প্রবৃত্ত সে হইল কুচেষ্টায় যে অতঃপর,


ঘোষণা সে করিল ফলে জুটিয়ে (বহু লস্কর),


বলিল তখন, ‘আমিও তো পরম প্রভু তোদের রে!’


ইহকাল আর পরকালের শাস্তি দিতে চাই তারে


ধৃত করিলেন আল্লাহ্। ভয় রাখে যে তাঁর তরে


বিশেষ করে জানার উপদেশ আছে (কোরান ভরে)।


তোমাদের কি সৃষ্টি অধিক কঠিন? না ওই আকাশের?


সৃজিয়া তায় ঊর্ধ্বকে তার করিলেন সুউচ্চ ফের।


ঠিক-ঠাক তায় দিলেন করে। রজনিকে তিমিরময়


করলেন (দূর করে তাহার আলোকরাশি সমুদয়)।


প্রসারিত করলেন এই ধরায় তিনি অতঃপর


তাহার থেকে করলেন বাহির পানি এবং চারণ-চর।


(তোমাদের ও তোমাদের পশুর উপকার তরে)


প্রতিষ্ঠিত করলেন ওই শৈলমালা উপরে।


সে মহাবিপদ আসবে যেদিন অতঃপর,


অর্জন সে করিছে কী বুঝতে পারবে সেদিন নর।


দর্শকে দেখানোর তরে দোজখ হবে সুপ্রকাশ,


লঙ্ঘন যে করে বিধি পার্থিব জীবনের আশ –


মুখ্যভাবে যে জন করে তার স্থিতিস্থান দোজখ পরে।


কিন্তু প্রভুর সম্মুখে তার দাঁড়াবার যে ভয় রাখে,


নীচ যত প্রবৃত্তি হতে মুক্ত রাখে আত্মাকে,


ফলে – (হবে) নিশ্চয় ওই বেহেশ্‌ত তাহার স্থিতিস্থান!


জিজ্ঞাসিছে ওরা ‘হবে কখন তাহার অধিষ্ঠান,


সেই মুহূর্ত আসবে কবে? তুমি আলোচনায় সেই


(ব্যস্ত) আছ? তার নিরুপণ তোমার প্রভুর নিকটেই।


– যেসব লোকে ভয় রাখে সেই মুহূর্তের


তুমি কেবল করতে পার সাবধান সে তাহাদের


(করবে মনে সেদিন তারা) দেখবে যখন সে খন,


রয়নি তারা এক সাঁঝ বা এক প্রভাতের অধিকক্ষণ।

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !