তৃতীয় খণ্ড
মৌরী :
বেদের দুলাল! তুই পাখি শিকার করিস কেন?
ঝুমরো :
বেদের মেয়ে! তুই সাপ নাচাস কেন?
মৌরী :
সাপ নাচাই? সাপের মতো চোখ যার – তাকে বশ করতে – শুনবি –
বাঁকা ছুরির মতো বেঁকে উঠল যে তোর আঁখি।
বেদের দুলাল আমার সাথে সাপ খেলাবি নাকি?
তোর জোড়া-ভুরুর ধনু আমি চিনি
পাখি আমি নই বেদিয়া আমি যে সাপিনী
ভয় করি না হাসিকে
ডর লাগে তোর বাঁশিকে
তোর মনের ঝাঁপি খোলা পেলে সেথায় গিয়ে থাকি॥
মৌরী :
শুনলি তো? আচ্ছা বেদের-দুলাল তুই ফুল পাড়তে পারিস – ওই গাছের আগায় কত ফুল দেখেছিস – আমায় পেড়ে দিবি?
ঝুমরো :
ফুলের দাম দিবি তো?
মৌরী :
দাম? যা!
ঝুমরো :
আচ্ছা দাম নাই দিলি – আমি যে ফুল পেড়ে দেব – তাই দিয়ে বিনি সুতোর মালা গেঁথে আমায় দিবি তো?
মৌরী :
বারে! তা হলে তো দাম দেওয়া হয়েই গেল। দাম পেলে চলে যাবি – আর দাম না পেলে পাওয়ার আশায় আবার ফিরে আসবি।
ঝুমরো :
ফিরে এলে যদি দেখা পাই – তাহলে দাম চাইনে – তাহলে কাল আবার ফিরে আসবি?
মৌরী :
জানি না!
ঝুমরো :
(তির ছোঁড়া ও ফুল পাড়ার শব্দ) এই নে একডাল ফুল তির দিয়ে পেড়ে দিলাম – তোর আঁচলের ডালি কই?
No comments:
Write comments