রক্তদন্তিকা
জয়,
রক্তাম্বরা রক্তবর্ণা জয় মা রক্তদন্তিকা।
নমো
রক্তায়ুধা রক্তনেত্রা ভীষণা উগ্রচণ্ডিকা।।
রক্ত-কেশা, রক্ত-ভূষণা,
রক্ত-রসনা, রক্ত-দশনা
জয়
দাড়িম্বকুসুমোপমা দনুজদলনী অম্বিকা।।
জয়
সর্বভয়-অপহারিণী জয়,
জয়
অতিরৌদ্রা, নিস্তারিণী জয়।
জয় মা পৃথিবীপালিনী।
ভক্তের তুমি জননীরূপিনী
করুণাময়ী অভয়দায়িনী (মাগো)
জয় অসুর-মুণ্ডমালিনী।
অখিল ব্যাপ্ত যোগেশ্বরী
আমি দেখি রূপ একী মরি মরি
চেলি-পরা লাল টুকটুকে মেয়ে আনন্দিনী বাসন্তিকা।।
তাহার পরে দেবী বলিতেছেন – আবার শতবর্ষব্যপী অনাবৃষ্টিবশত পৃথিবী জলশূন্য হইলে মুনিগণ আমাকে স্তব করিবেন। তখন আমি সেই জলশূন্য পৃথিবীতে অযোনিজা রূপে প্রাদুর্ভূতা হইব। তৎকালে শত নেত্রে আমি মুনিগণকে দর্শন করিব; তজ্জন্য দেব ও মানবগণ আমাকে ‘শতাক্ষী’ বলিয়া কীর্তন করিবে। অনন্তর আমি স্বদেহজাত প্রাণরক্ষক শাক দ্বারা যত দিন পর্যন্ত বৃষ্টি না হয়, ততদিন পর্যন্ত লোকগণকে পালন করিব। এই জন্য তৎকালে আমি ‘শাকম্ভরী’ নামে বিখ্যাত হইব এবং এই অবতারে দুর্গম নামক এক মহাসুরকে বিনাশ করিব।
বৈবস্বত মন্বন্তরের চত্বারিংশৎ যুগ শতাক্ষী ও শাকম্ভরীর অবতারকাল। সে কাল এখনও উপস্থিত হয় নাই। ইহাই লক্ষ্মীতন্ত্রে উক্ত হইয়াছে।
No comments:
Write comments