সুরা আলকআলক : রক্ত ও তার পরিবর্তিত অবস্থা।
শুরু করিলাম লয়ে নাম আল্লার,
করুণা-সাগর যিনি দয়ার পাথার।
পাঠ করো প্রভুর নামে, স্রষ্টা যে জন,
করিছেন যিনি ঘন সে শোণিতে মানবে সৃজন।
পাঠ করো, তব বিধাতা মহিমা-মহান সেই,
দিয়াছেন সবে লেখনীর দ্বারা শিক্ষা যেই।
–সে জানিত না যাহা,
মানুষেরে তিনি দেছেন শিক্ষা তাহা।
না, না, মানুষ সীমা লঙ্ঘন করিয়া যায়,
ধন-গৌরবে মত্ত যে ভাবে সে আপনায়
নিশ্চয় তব প্রভুর পানে যে ফিরিতে হবে।
দেখেছ কি তারে–আমার দাসেরে সে জন যবে
নিবারণ করে দাস মোর যবে নামাজ পড়ে?
দেখেছ, সে জন থাকিত যদি রে সুপথ ধরে!
সে যদি অন্যে সংযমী হতে করিত আদেশ!
সত্যেরে যদি মিথ্যা বলে সে (শাস্তি অশেষ)।
(সত্য হইতে) মুখ সে ফিরায়! সে জন তবে
জানে না কি, খোদা দেখিতেছেন যে তার সে সবে?
না, না, যদি নিবৃত্ত সে না হয়, শেষ
টানিয়া আনিব ধরিয়া তাহার ললাট-কেশ।
মিথ্যাবাদী সে মহা পাতকীর ললাট (ধরি)
(টানিব)। ডাকুক সভা সে তাহার পারিষদেরই।
আমিও আমার বীর সেবকেরে দিই খবর,
না, না, না কখনও মানিয়ো না তাদের পর।
সেজদাসেজদা : সাষ্টাঙ্গে প্রণাম। করো
হও ক্রমে মোর নিকট হইতে নিকটতর।
No comments:
Write comments