Search This Blog

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Sunday, December 11, 2016

তৃতীয় দৃশ্য

তৃতীয় দৃশ্য


[সিংহাসনারূঢ়া মকর-বাহিনী পদ্মা। পরনে জল-তরঙ্গ শাড়ি, হাওয়ায় কেবলই ঝিলমিল করিতেছে। গায়ে কাঁচা রৌদ্র-কিরণের উড়ুনি। কাশ-বন চামর ঢুলাইতেছে। বেলা-ভূমে হাঙ্গর কুম্ভীর প্রহরীর কার্য করিতেছে। দুই তীরে বালুচরের শ্বেত পর্দা ঝুলানো। অগণিত মীন-সেনা সিংহাসনের চারিপাশে পায়চারি করিয়া ফিরিতেছে। জলদেবী গণ বন্দনা-গান গাহিতেছে।]


  


নমো নমো নমো হিম-গিরি –সূতা


দেবতা-মানস-কন্যা।


স্বর্গ হইতে নামিয়া ধূলায়


মর্ত্য করিলে ধন্যা।।


আছাড়ি পড়িছ ভীষণ রঙ্গে


চূর্ণি পাষাণ ভীম তরঙ্গে,


কাঁপিছে ধরণি ভ্রুকুটি ভঙ্গে,


ভুজঙ্গ-কুটিল বন্যা।।


কূলে কূলে তব কন্যা কমলা


শস্যে-কুসুমে হাসিছে অচলা,


বন্দিছে পদ শ্যাম-অঞ্চলা


ধরণি ঘোরা অরণ্যা।।


  


[জলদেবীদের নাম –তরঙ্গিণী, সলিলা, অনিলা, তটিনী, নির্ঝরিণী, বালুকা।]



পদ্মা :

তোদের এ গান থামা, তরঙ্গিণী। এ বন্দনা-গান আজ আমার গায়ে বিদ্রুপের মতো বিঁধছে।



তরঙ্গিণী :

জানি মা, তোমার বেদনা কত বিপুল। কিন্তু যন্ত্রপতির এ স্পর্ধার দণ্ড কি আমরা দিতে অসমর্থ, মা?



পদ্মা :

আপাতত তো তাই মনে হচ্ছে তরঙ্গিণী। কত বাধাই না দিলাম। যন্ত্রপতির অগণিত সেনা-সামন্ত আজও আমার বালুচরের তলে তাদের সমাধি রচনা করে পড়ে রয়েছে, তবু তো তাকে আটকে রাখতে পারলাম না। সে আমার বুকের ওপর দিয়ে তার উদ্ধত যাত্রা-পথ রচনা করে গেল। (অদূরে সেতু-বন্ধ দেখা যাইতেছিল, সেই দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া) ওই দেখেছিস তার সেতু-বন্ধ? ও যেন কেবলই আমার মাথায় চড়ে বিদ্রুপ করছে! অসহ্য তরঙ্গিণী, অসহ্য এ অপমান!



সলিল :

কী চতুর ওই যন্ত্রপতিটা, মা! কাপুরুষ – আমাদের ভয়ে আমাদের নাগালের বাইরে ওর পথ রচনা করেছে। পেতাম ওকে তরঙ্গের মুখে, তা হলে ওর ওই আকাশস্পর্শী স্পর্ধার মুখের মতো শাস্তি দিয়ে ছাড়তাম!



বালুকা :

তাহলে এতদিন ওই বালুচর হত ওর সমাধি।



পদ্মা :

যুদ্ধজয় শুধু শক্তি দিয়ে হয় না, সলিলা, শক্তির চেয়ে বুদ্ধিরই বেশি প্রয়োজন বড়ো যুদ্ধে।



অনিলা :

আচ্ছা মা, ওর পথ না হয় আমাদের নাগালের ঊর্ধ্বেই রইল, কিন্তু ও-পথের মূল তো রয়েছে আমাদেরই বুকের উপর প্রোথিত। সে-মূলকে কি আমরা উপড়ে ফেলতে পারিনে?



পদ্মা :

আমার শক্তিহীন তরঙ্গ-সেনাকে সে কথা জিজ্ঞেস করো অনিলা। সে চেষ্টা আমাদের ব্যর্থ হয়েছে। প্রথমবার – কেন, বহুবারই আমরা তাদের ও পথমূলকে উচ্ছেদ করেছি, কিন্তু আর পারা গেল না। ওর বিপুল ভারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি আর আমার তরঙ্গসেনার রইল না!



নির্ঝরিনী :

আচ্ছা, মা আমরা তো পারলাম না। কিন্তু আমাদের এ-অপমান – এই পরাজয় দেখে স্বর্গের দেবতারা কী করে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে রইলেন, তাই ভাবছি। তুমি আকাশের দেবতাদের আহ্বান করো না একবার!



পদ্মা :

আমি দেবরাজ ইন্দ্রের সাহায্যও চেয়েছি, নির্ঝরিণী। দেবরাজ তাঁর মেঘ-রথে চড়ে দেখেও গেছেন সব। তিনিও যে যন্ত্রপতির এই অতি বিপুল স্থূলকায় দেখে বিস্মিত – হয়তো বা ভীতও হয়েছেন। আমার মরাল দূতী এই সেদিন ফিরে এসেছে। তিনি বলেছেন, এর জন্য তাঁকে বড়ো রকম প্রস্তুত হতে হবে। পরাজয়ের লজ্জাকে তাঁর অতিমাত্রায় ভয়!



তটিনী :

কিন্তু মা, অসুরের হাতে দেবরাজের পরাজয় তো বহুবারই হয়ে গেছে।



পদ্মা :

বারে বারে পরাজিত হয়েই তো তাঁর এত ভয়, তটিনী! তাঁর পরাজয়ের পথ অনুসরণ করে যদি অসুরের দল আবার স্বর্গ আক্রমণ করে!


[হঠাৎ ঊর্ধ্বে মেঘের দামামা-ধ্বনি শোনা গেল। পদ্মাদেবী উৎকর্ণ হইয়া উঠিলেন।]



পবন :

(হাঁপাইতে হাঁপাইতে আসিয়া) দেবী! স্বর্গে দামামা বেজে উঠেছে। আমার অগ্রজ দেবরাজ সেনাপতি ঝঞ্ঝা তাঁর সৈন্যসামন্ত নিয়ে এসে পড়লেন বলে! আদেশ দিন দেবী, আমি আমাদের সৈন্যসামন্তদের প্রস্তুত হতে বলি।



পদ্মা :

(উত্তেজনায় দণ্ডায়মান হইয়া) তুমি প্রস্তুত হও সেনাপতি! এখনই তরঙ্গ-সেনাদলকে কূলে কূলে দামামা-ধ্বনি করতে বলো। সকলে যেন তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকে। আমি দেবরাজ সেনাপতিকে অভ্যর্থনা করে আনি। জয় মা ভবানী! (পদ্মা শ্বেতমরালীর ডানায় চড়িয়া ঊর্ধ্বে উড়িয়া গেলেন। তরঙ্গ-সেনা, হাঙ্গর, কুমির, মীনদল, জলদেবীগণ অতি ব্যস্ততা-সহকারে বাহির হইয়া গেল। পশ্চিম গগন অন্ধকার করিয়া কৃষ্ণমেঘ দেখা দিল। দেখিতে দেখিতে মেঘ সারা আকাশ ছাইয়া ফেলিল। ঊর্ধ্বে ভীষণ শনশন শব্দে ঝঞ্ঝা আসিয়া উপস্থিত হইল। পদ্মার জল সম্ভ্রমে বিস্ময়ে স্তব্ধ হইয়া যেন দেবরাজ সেনাপতিকে অভিবন্দনা জ্ঞাপন করিল।)


[ঝঞ্ঝার উচ্ছৃঙ্খল ঝামর-কেশ ত্রস্ত স্কন্ধ হইতে স্খলিত হইয়া ধরায় লুটাইয়া পড়িতেছে। হস্তে ধূলি-গৈরিক পতাকা। কর-খর্পরে ধূমায়িত অগ্নি। বক্ষদেশে বিদ্যুতের যজ্ঞোপবীত। চরণে খর-ধ্বনি নূপুর। নয়নে বজ্রাগ্নি-জ্বালা। বাহুতে ছিন্ন শৃঙ্খল। দিগন্ত-ছাওয়া কুটিল ভ্রু-ভঙ্গি। নিযুত বাসুকি কোটি ফণা বিস্তার করিয়া ছত্র ধরিয়াছে। তাহাদের নিশ্বাসের শব্দে স্বর্গ-মর্ত্য শিহরিয়া উঠিতেছে। – যেন দ্বিতীয় প্রলয়ের শংকর।]


  


অন্তরীক্ষে গান


  


হর হর শংকর! জয় শিব শংকর!


দানব-সন্ত্রাস জয় প্রলয়ংকর!


জয় শিব শংকর।।


নিপীড়িত জন-মন-মন্থন দেবতা!


আনো অভয়ংকর স্বর্গের বারতা!


জাগো মৃত্যুঞ্জয় সংঘাত-সংহর।


জয় শিব শংকর।।


এসো উৎপীড়িতের রোদনের বোধনে


বজ্রাগ্নির দাহ লয়ে রোষ-নয়নে।।


ভীম কৃপাণে লয়ে মৃত্যুর দণ্ড


দৈত্যারি-বেশে এসো উন্মাদ চণ্ড


ধ্বংস-প্রতীক মরু-শ্মশান-সঞ্চর!


জয় শিব শংকর।।


  


[ঊর্ধ্বে ঝঞ্ঝা, পদ্মা, বজ্রশিখা, মেঘ, পবন। নিম্নে তরঙ্গ-সেনা, সেতু জলদেবীগণ, মীনকুমারীগণ, ভারবাহী পশু ও মানুষ, পীড়িত মানবাত্মা।]



ভারবাহী মানুষ :

(অন্তরীক্ষ লক্ষ করিয়া) জাগো দেবতা! আর এ ভার বইতে পারিনে। যন্ত্র-রাজা আমাদের ক্ষুধার অন্নের বিনিময়ে আমাদের সর্বস্ব হরণ করেছে। আমাদের আত্মাকে হত্যা করে পশু করে তুলেছে। আমাদের পিঠে হয়েছে কুব্জ, আমাদের দেহ হয়েছে রোগ-জীর্ণ, খর্ব। আমাদের কর্তব্য হয়েছে ওদের ভার বহন। জাগো, দেবতা, জাগো!



ভারবাহী পশু :

জাগো রুদ্র জাগো! নিপীড়িত কুলিরও অধম হয়েছি আমরা। যন্ত্ররাজের পশুত্ব আমাদেরও নীচে গিয়ে পৌঁছেছে। ক্ষুধায় তৃষ্ণায় ওষ্ঠাগত-প্রাণ আমরা। আমরা দিবসে হই তার ভারবাহী, নিশীথে হই ক্ষুধার আহার্য। জাগো রুদ্র, এই অপমৃত্যুর হাত হতে আমাদের রক্ষা করো!



পদ্মা :

ওই শোনো, শোনো দেবরাজ-সেনাপতি! নিম্নে পীড়িত মানবাত্মা, ভারবাহী পশুর ক্রন্দন-ধ্বনি! আমারই কূলে ওরা ওদের শান্ত নীড় রচনা করেছিল। যন্ত্রপতি ওদের ধরে আমারই সর্বনাশ করিয়েছে। হানো তোমার বজ্রাঘাত, আর আমি সইতে পারিনে!



ঝঞ্ঝা :

মাভৈঃ! ভয় নাই দেবী। যন্ত্ররাজের পাপের ভরা পূর্ণ হয়েছে। ওকে আরও অগ্রসর হতে দিতে দিলে আমাদের স্বর্গের সদর-দ্বারে গিয়ে সে হানা দিবে। আমি বিধাতার ইঙ্গিত নিয়ে এসেছি। (বজ্রকে দেখাইয়া) ওই দেখো তার মৃত্যুদণ্ড – জ্বলন্ত অগ্নি-শিখায় লিখা! – পবন! মেঘরাজ! – তরঙ্গসেনা! – বন্যাধারা! সকলে প্রস্তুত তো?


[ঊর্ধ্বে ও নিম্নে সমবেত কণ্ঠের জয়ধ্বনি উত্থিত হইল। সেতু-বন্ধ কাঁপিয়া উঠিল।]


এইবার আমাদের প্রলয়-নাচের পালা শুরু হোক।... দেবী! তুমি নিম্নে গিয়ে তোমার তরঙ্গসেনা বন্যাধারাকে পরিচালিত করো। ... পবন! তুমি তোমার পরিপূর্ণ গতিবেগ নিয়ে সেতু-বন্ধের ঊর্ধ্বদেশ আক্রমণ করেো। বন্যা-ধারাকে, তরঙ্গ-সেনাদলকে পশ্চাতে থেকে শক্তি দাও, সাহস দাও, পরিচালিত করো, ওদের মাঝে আরও আরও গতিবেগ সঞ্চারিত করো। মেঘ! তুমি সাগর শূন্য করে সকল গিরি-শির রিক্ত করে জলধারা বর্ষণ করো! তরঙ্গ-সেনা তোমার শক্তিতে, অধীর উন্মাদনায় উন্মত্ত ফেনায়মান হয়ে উঠুক!... বজ্রশিখা! তুমি তোমার অগ্নিদণ্ড নিয়ে সেতু-বন্ধের শিরোদেশে, পদমূলে আঘাতের পর আঘাত করো। – ধরণিধর বাসুকীকে খবর দাও, সে তার ফণা আস্ফালন করে ধরণিকে কাঁপিয়ে তুলুক। ভেঙে ফেলুক ওই অসুরের দম্ভ সেতু-বন্ধ!


[ঊর্ধ্বে নিম্নে ঘন ঘন জয়ধ্বনি উঠিতে লাগিল – “জয় গন্ধর্ব-লোকের জয়! জয় দেবরাজ ইন্দ্রের জয়! জয় মা ভবানী! জয় শংকর”!... পৃথিবী টলমল করিয়া উঠিল। ঘন ঘন বজ্রপাত ও অবিরল ধারে বৃষ্টি হইতে লাগিল। দেখিতে দেখিতে পদ্মার ঢেউ ভীম নর্তনে দুই কূল প্লাবিয়া তুলিল। তরঙ্গ-সেনাদলের গিরিমাটি-রাঙা উত্তরীয় পবন-বেগে উৎক্ষিপ্ত হইয়া উঠিল। জলদেবীগণ, মীনকুমারীগণ, হাঙ্গর, কুমির – সকলে উন্মত্ত হইয়া উঠিল। সকলে সেতুবন্ধে আঘাত করিতে লাগিল। ক্রমে শত শবভারবাহী মানুষ ও পশুর দল হাতুড়ি শাবল গাঁইতি এবং শৃঙ্গ লইয়া সেতুবন্ধকে আক্রমণ করিল। সেতুবন্ধ কাঁপিয়া উঠিল।]



সেতু :

জয়, যন্ত্ররাজের জয়! সাবধান স্বর্গ স্বর্গ-বিলাসীর দল! ও-আঘাত আমার অচেনা নয়। বহুবার ওর শক্তি পরীক্ষা করেছি। (হঠাৎ বজ্রাঘাতে টলমলায়মান হইয়া) উঃ! যন্ত্ররাজ! আর পারিনে। দেবতাই বুঝি জয়ী হল!


(বাষ্পরথে সসৈন্যে যন্ত্ররাজের আগমন)



যন্ত্ররাজ :

জাগো যন্ত্ররাজ-সেনা, জাগো! স্বর্গের চক্রান্তকে চিরদিনের মতো ব্যর্থ করতে চাই। আজকার জয় দিয়ে স্বর্গরাজ্য জয়ের কল্পনা বাস্তবে পরিণত করতে হবে। জাগো যন্ত্রী, জাগো সেনাদল!


[ইঁট, কাঠ পাথর প্রভৃতি যন্ত্ররাজ-সেনার ও সেনাপতি যন্ত্রের ঘন ঘন জয়ধ্বনি করিতে লাগিল।...দেবাসুরের ভীষণ রণ-কোলাহল ক্লেদে ধরণি আকাশ পঙ্কিল ধূম্রাক্ত হইয়া উঠিল।]



ঝঞ্ঝা :

কোথায় নিশিত পাশুপতাস্ত্র! জাগো! দেবতার উদ্যত দণ্ড হয়ে যন্ত্ররাজের বক্ষ ভেদ করো। সাবাস! (পাশুপতাস্ত্র নিক্ষেপ ও যন্ত্ররাজের পতন। সঙ্গে সঙ্গে সেতুবন্ধও ভীষণ শব্দে পদ্মাগর্ভে নিপতিত হইল।)



পদ্মা :

জয় মা ভবানী। জয় দেব-শক্তির! গন্ধর্ব-লোকের জয়! (যন্ত্ররাজের বুকে ত্রিশূল হানিয়া) আজ হতে মর্ত্যে পশুর রাজত্বের অবসান হল! (যন্ত্ররাজের বিকট আর্তনাদে আকাশ যেন ফাটিয়া চৌচির হইয়া গেল।)



ঝঞ্ঝা :

জয় দেবরাজ ইন্দ্রের! জয় মন্দাকিনী-সূতা পদ্মাদেবী! আজ গন্ধর্ব-লোকের সাথে স্বর্গও অসুর-ত্রাস থেকে মুক্ত হল। জয় শিব শংকর!


[তরঙ্গ-সেনাদল দলে দলে আসিয়া পতিত সেতুবন্ধের উপর পড়িয়া তাহাকে গ্রাস করিতে লাগিল। দেখিতে দেখিতে বিপুল সেতুবন্ধ পদ্মাগর্ভে লীন হইল। উৎক্ষিপ্ত তরঙ্গ গগন-চুম্বন-প্রয়াসী হইয়া উঠিল।...দেখিতে দেখিতে মেঘ কাটিয়া গিয়া পূর্ব গগন রাস-রঙা রামধনু-শোভিত হইয়া উঠিল। অস্তপাট সোনার গোধূলি-রঙে রাঙিয়া উঠিল। সূর্যদেব সহস্র কর বর্ষণ করিয়া পৃথিবীকে আশীর্বাদ করিলেন। পদ্মা তরঙ্গ-শিরে একরাশ ছিন্ন শতদল লইয়া স্বর্গের পানে তুলিয়া ধরিলেন, ঝঞ্ঝার ধূর্জটি-কেশে পরাইয়া দিলেন। দূর মেঘ-লোকে বিজয়-দামামা-ধ্বনি শ্রুত হইতে লাগিল।]



যন্ত্র :

(মৃত্যু-কাতর কণ্ঠে) আমার মৃত্যু নাই। দেবী! আজ তোমারই জয় হল। দেবতার মতো দানবও বলে, – ‘সম্ভবামি যুগে যুগে।’ আমি আবার নতুন দেহ নিয়ে আসব। আবার তোমার বুকের ওপর দিয়ে আমার স্বর্গজয়ের সেতু নির্মিত হবে।



পদ্মা :

জানি যন্ত্ররাজ! তুমি বারেবারে আসবে, কিন্তু প্রতিবারেই তোমায় এমনি লাঞ্ছনার মৃত্যু-দণ্ড নিয়ে ফিরে যেতে হবে!


  


যবনিকা

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !