চণ্ডিকা মহাকালী
নিপীড়িতা পৃথিবী ডাকে
জাগো চণ্ডিকা মহাকালী।
মৃতের শ্মশানে নাচো মৃত্যুঞ্জয়ী মহাশক্তি
দনুজদলনী করালী।।
প্রাণহীন শবে শিব-শক্তি জাগাও
নারায়ণের যোগনিদ্রা ভাঙাও
অগ্নিশিখায় দশদিক রাঙাও
বরাভয়দায়িণী নৃমুণ্ডমালী।।
শ্রীচণ্ডীতে তোরই শ্রীমুখের বাণী
কলিতে আবির্ভাব হবে তোর ভবানী।
এসেছে কলি, কালিকা এলি কই!
শুম্ভ-নিশুম্ভ জন্মেছে পুন ওই,
অভয়বাণী তব মাভৈঃ মাভৈঃ
শুনিব কবে মা গো খর-করতালি।।
দেববৃন্দের স্তুতিতে সন্তুষ্ট হইয়া শুম্ভ-নিশুম্ভের হত্যার পর বরদানকালে দেবী বলিলেন–
পুনরপ্যতিরৌদ্রেণ রূপেণ পৃথিবীতলে।
অবতীর্য্য হনিষ্যামি বৈপ্রচিত্তাংস্তু দানবান।। (শ্রীশ্রীচণ্ডী-১১/৪৩)
ভক্ষয়ন্ত্যাশ্চ তানুগ্রান্ বৈপ্রচিত্তান্মহাসুরান্।
রক্তা দন্তা ভবিষ্যন্তি দাড়িম্বকুসুমোপমাঃ।। (ওই, ১১/৪৪)
ততো মাং দেবতাঃ স্বর্গে মর্ত্ত্যলোকে চ মানবাঃ।
স্তবন্তো ব্যাহরিষ্যন্তি সততং রক্তদন্তিকাম।। (ওই, ১১/৪৫)
অর্থাৎ– পুনরায় আমি অতি ভীষণ মূর্তিতে এই পৃথিবীতলে অবতীর্ণা হইয়া বিপ্রচিত্ত-বংশসম্ভূত দানবগণকে সংহার করিব। তখন ওই ভীষণ বৈপ্রচিত্ত দানবগণকে ভক্ষণ করায় আমার দন্তসমূহ দাড়িম্বপুষ্পের ন্যায় রক্তবর্ণ হইবে। তজ্জন্য স্বর্গে দেবগণ ও মর্ত্যে মানবগণ সতত আমার স্তব করিবে ও আমাকে রক্তদন্তিকা বলিয়া কীর্তন করিবে।
কেহ কেহ বলেন, বিপ্রচিত্তি ইন্দ্রসভার এক নর্তকী। এই উক্তিতে মনে হয়, কোনো নর্তকী-গর্ভজাত মানব পৃথিবীতে রাজত্ব করিয়া উৎপীড়ন করিবে এবং দেবী রক্তদন্তিকা রূপ ধরিয়া তাহাকেও হত্যা করিবেন।
No comments:
Write comments