৪৫
তৌবা
বেহাগ-খাম্বাজ – দাদরা
দ্যাখো
হিন্দুস্থান সায়েব মেমের,
রাজা আংরেজ হারাম-খোর।
ওদের
পোশাকের চেয়ে অঙ্গই বেশি,
হাঁটু দেখা যায় হাঁটিলে জোর!
আর
মেয়েরা ওদের মদ্দের সাধে
রাজপথে করে গলাগলি,
আরে
শুধু তাই নয়, নাচে গলা ধরে
ব্যান্ড বাজায়ে ধলা-ধলি॥
কোরাস :
আরে তৌবা! আরে তৌবা!!
আরে
যাবে কোথা মিয়াঁ? চৌদিক ঘিরে
টিকি বেঁধে শিরে কাফের হায়,
খাই
আমরা হারাম সুদ? আরে যাও,
ওরা যে তেমনি ক্যাঁকড়া খায়!
দ্যাখো
ষাড়-পোড়া খেলে হাড় মোটা হয়,
সোজা কথাটা কি বুঝিলে ছাই!
আর
খাসি নাহি করে বোদা পাঁঠা ধরে
কেটে খায়, করে নাকো জবাই॥
কোরাস :
আরে তৌবা! আরে তৌবা!!
দ্যাখো
মেয়েরা ওদের বোরকা না দিয়ে
রেল ও জাহাজে চড়িয়া যায়,
মোদের
বোরকা দেখিলে ছেলেরা ওদের
জুজুবুড়ি বলে ভিরমি খায়।
আরে
ইজ্জত তবু থাকে তো মোদের
যক্ষ্মায় নয় মরে শতক,
ওরে
উহাদের মতো বেরুলে বিবিরা
যদি কেউ দেখে হয় ‘আশক’॥
কোরাস :
আরে তৌবা! আরে তৌবা!!
আরে
আমাদের মতো দাড়ি কই ওদের?
লাগিলে যুদ্ধ নাড়িবে কী?
আর
উহাদের মতো কাছা কোঁচা নাই,
ধরিলে মোদের ফাড়িবে কী?
ছার
অস্ত্র লইয়া কী হবে, আমরা
বস্ত্র যা পরি থান খানিক,
তাতে
তৌবা তৌবা করি যদি, যাবে
কামানের গোলা আটকে ঠিক
দ্যাখো
তুর্কিরা বটে ছাঁটিয়া ফেলেছে
তুর্কি নূর ও মাথার ফেজ,
আর
‘দীন-ই-ইসলাম’ছেড়ে দিয়ে শুধু
তলোয়ারে তারা দিতেছে তেজ!
আরে
বাপ-দাদা করে গিয়েছে লড়াই,
আমরা খামখা কেন লড়ি!
দেহে
ইসলামি জোশ আনাগোনা করে
কোরাস :
সোবহান আল্লা! সোবহান আল্লা!!
মোরা
মসজিদে বসি নামাজ পড়ি যে,
রক্ষা কি আছে বিধর্মীর?
অভিশাপ যদি হানেন পির!
দ্যাখো
পায়জামা চেপে রেখেছি আজিও
আমাদের এই পায়ের জোর,
আরে
অক্কাই যদি পেতে হয় – দিব
মক্কার পানে সরল দৌড়॥
জানো,
দুনিয়ায় মোরা যত পাব দুখ,
বেহেশতে পাব ততই সুখ,
আর
মেরে যদি হাত-চুলকুনি মেটে,
নে বাবা, তোদেরই আশ মিটুক!
সবে
পশ্চাৎ দিয়ে করিব জবাই,
বাবা
মুষল লইয়া কুশল পুছিতে
আসিছে কাবুলি মুসলেমিন॥
কোরাস :
আল্লাহু আকবর! আল্লাহু আকবর!!
No comments:
Write comments