ভৈরবী – কাহারবা
আসিলে কে গো অতিথি উড়ায়ে নিশান সোনালি।
ও চরণ ছুঁই কেমনে দুই হাতে মোর মাখা যে কালি।।
দখিনের হালকা হাওয়ায় আসলে ভেসে সুদূর বরাতি!
শবে’রাতশবে'রাত : মৃত পরিজনেদের আত্মার কল্যাণকামনায়, মুসলমানদের এক উৎসব রাত্রি। আজ উজালা গো আঙিনায় জ্বলল দীপালি।।
তালি-বন ঝুমকি বাজায়, গায় ‘মোবারক-বাদ’মোবারক-বাদ : কল্যাণ-প্রশস্তি। কোয়েলা।
উলসি উপচে প’ল পলাশ-অশোক-ডালের ওই ডালি।।
প্রাচীন ওই বটের ঝুরি দোলনাতে হায় দুলছে শিশু।
ভাঙা ওই দেউল-চূড়ে উঠল বুঝি নৌ-চাঁদের ফালি।।
এল কি অলখ-আকাশ বেয়ে তরুণ হারুন-আল্-রশীদ।
এল কি আল্’ বেরুণি, হাফিজ, খৈয়াম, কায়েস, গাজ্জালি।।
সানাইয়াঁ ভয়রোঁ বাজায়, নিদ মহলায় জাগল শাহজাদি।
কারুণেরকারুণ : ধন কুবের। রুপার পুরে নূপুর-পায়ে আসল রূপ-ওয়ালি।।/p>
খুশির এ বুলবুলিস্তানে মিলেছে ফার্হাদ ও শিরী।
লাল এ লায়লি-লোকে মজনু হর্দম চালায় পেয়ালি।।
বাসিফুল কুড়িয়ে মালা না-ই গাঁথিলি রে ফুল-মালি।
নবীনের আসার পথে উজাড় করে দে ফুল-ডালি।।
No comments:
Write comments