দীওয়ান-ই-হাফিজ
গজল ৮
বুক-ব্যথানো বেণুর বেদন বাজিয়েছিল কাল রাতে
বনশিওয়ালা – আল্লাতালা রাখুন তারে আহ্লাদে!
করলে আমায় ক্লান্ত এতই তার সে মুরজ মুরঝা সুর –
বোধ হল মোর বিশ্ব-নিখিল কেবল কান্না-বেদনাতুর!
পার্শ্বে ছিল ছুকরি সাকি ঠোঁট-কূপে যার ‘আব-হায়াত’আব-হায়াত : মৃতসঞ্জীবনী-সুধা !
মুখ আলো আর কেশ কালো যার খেলায় সদাই দিন ও রাত।
বিহ্বল আমার তৃষ্ণা দেখে পাত্রে আরও ঢালল মদ,
মদ-মদালস কইনু আমি চুম্বি সাকির পুণ্য পদ –
“মুক্তি দিলে আমার ‘অহম’-দুঃখ থেকে আজ তুমি,
মদ ঢেলে যেই করলে অধর কাচ-পেয়ালার নাচ-ভূমি।
আল্লা তোমায় আগলে রাখুন আলাই-বালাই আপনি নে,
সাকি! তোমার সর্বলোকে কল্যাণ হোক সব দিনে।”
হাফিজ যখন আপন-হারা কোথায় বা তোর ‘কায়কাউস’কায়কাউস : প্রাচীন পারস্যের প্রবল পরাক্রান্ত দুই বাদশা।,
কায়কোবাদেরকায়কোবাদ : প্রাচীন পারস্যের প্রবল পরাক্রান্ত দুই বাদশা। কুল-মুলুক? এক তিল বরাবর তখত্তাউসতখত্তাউস : ময়ূর-সিংহাসন।।
No comments:
Write comments