Search This Blog

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Monday, November 28, 2016

নিত্য প্রবল হও

নিত্য প্রবল হও


অন্তরে আর বাহিরে সমান নিত্য প্রবল হও!


যত দুর্দিন ঘিরে আসে, তত অটল হইয়া রও!


যত পরাজয়-ভয় আসে, তত দুর্জয় হয়ে ওঠো।


মৃত্যুর ভয়ে শিথিল যেন হয় তলোয়ার-মুঠো।


সত্যের তরে দৈত্যের সাথে করে যাও সংগ্রাম,


রণক্ষেত্রে মরিলে অমর হইয়া রহিবে নাম।


এই আল্লার হুকুম – ধরায় নিত্য প্রবল রবে,


প্রবলেই যুগে যুগে সম্ভব করেছে অসম্ভবে।


ভালোবাসেন না আল্লা, অবিশ্বাসী ও দুর্বলেরে,


‘শেরে-খোদা’ সেই হয়, যে পেয়েছে অটল বিশ্বাসেরে!


ধৈর্য ও বিশ্বাস হারায়, সে মুসলিম নয় কভু,


বিশ্বে কারেও করে নাকো ভয় আল্লাহ্‌ যার প্রভু!


নিন্দাবাদের মাঝে ‘আল্লাহ্ জিন্দাবাদ’-এর ধ্বনি


বীর শুধু শোনে, কোনো নিন্দায় কোনো ভয় নাহি গণি।


আল্লা পরম সত্য, ভয় সে ভ্রান্তির কারসাজি,


প্রচণ্ড হয় তত পৌরুষ, যত দেখে দাগাবাজি!


ভুলে কি গিয়াছ অসম সাহস নির্ভীক আরবির?


পারস্য আর রোমক সম্রাটের কাটিয়াছে শির!


কতজন ছিল সেনা তাহাদের? অস্ত্র্র কী ছিল হাতে?


তাদের পরম নির্ভর ছিল শুধু এক আল্লাতে।


জয় পরাজয় সমান গণিয়া করেছিল শুধু রণ,


তাদের দাপটে কেঁপে উঠেছিল পৃথিবীর প্রাঙ্গণ!


তারা দুনিয়ার বাদশাহি করেছিল ভিক্ষুক হয়ে,


তারা পরাজিত হয়নি কখনও ক্ষণিকের পরাজয়ে।


হাসিয়া মরেছে করেনি কখনও পৃষ্ঠপ্রদর্শন,


ইসলাম মানে বুঝেছিল তারা অসত্য সাথে রণ।


তারা জেনেছিল, দুনিয়ায় তারা আল্লার সৈনিক,


অর্জন করেছিল স্বাধীনতা নেয়নি মাগিয়া ভিখ!


জয়ী হতে হলে মৃত্যুঞ্জয়ী পুরুষ হইতে হয়,


শত্রু-সৈন্য দেখে কাঁপে ভয়ে, সে তো সেনাপতি নয়!


শত্রু-সৈন্য যত দেখে তত রণ-তৃষ্ণা তার বাড়ে,


দাবানল সম তেজ জ্বলে ওঠে শিরায় শিরায় হাড়ে!


তলোয়ার তার তত তেজ ফোটে যত সে আঘাত খায়,


তত বধ করে শত্রুর সেনা, রসদ যত ফুরায়।


নিরাশ হোয়ো না! নিরাশা ও অদৃষ্টবাদীরা যত


যুদ্ধ না করে হয়ে আছে কেউ আহত ও কেউ হত!


যে মাথা নোয়ায়ে সিজদাসিজদা : সাষ্টাঙ্গ প্রণাম। করেছ এক প্রভু আল্লারে,


নত করিয়ো না সে মাথা কখনও কোনো ভয়ে কোনো মারে!


আল্লার নামে নিবেদিত শির নোয়ায় সাধ্য কার।


আল্লা সে শির বুকে তুলে নেন, কাটে যদি তলোয়ার!


ভীরু মানবেরে প্রবল করিতে চাহেন যে দুনিয়াতে


তাঁরেই ইমাম নেতা বলি আমি, প্রেম মোর তারই সাথে।


আড়ষ্ট নরে বলিষ্ঠ করে যাঁর কথা যাঁর কাজ,


তাঁরই তরে সেনা সংগ্রহ করি, গড়ি তাঁরই শির-তাজ!


গরিবের ঈদ আসিবে বলিয়া যে আত্মা রোজা রাখে,


পরমাত্মার পরমাত্মীয় বলে আমি মানি তাঁকে।


অকল্যাণের দূত যারা, যারা মানুষের দুশমন,


তাদের সঙ্গে যে দুরন্তেরা করিবে ভীষণ রণ –


মোর আল্লার আদেশে তাদেরে ডাক দিই জমায়েতে,


অচেতন ছিল যারা, তারা আসিতেছে সে তীর্থপথে।


আমি তকবীরতকবীর : আল্লাহ্‌-আকবর।-ধ্বনি করি শুধু কর্ম-বধির কানে,


সত্যের যারা সৈনিক তারা জমা হবে ময়দানে!


অনাগত ‘নবযুগ’-সূর্যের তুর্য বাজায়ে যাই,


মৃত্যু বা কারাগারের কোনো ভয় দ্বিধা নাই।


একা ‘নবযুগ’-মিনারে দাঁড়ায়ে কাঁদিয়া সকলে ডাকি,


দরমার হাঁস না আসে, আসিবে মুক্তপক্ষ পাখি।


এ পথে ভীষণ বাজপাখি আর নিঠুর ব্যাধের ভীতি,


আলোক-পিয়াসি পাখিরা তবুও আসিছে গাহিয়া গীতি।


  


মৃত্যু-ভয়াক্রান্ত আজিকে বাংলার নরনারী,


তাদের অভয় দিতেই আমরা ধরিয়াছি তরবারি।


আমরা শুনেছি ভীত আত্মার সকরুণ ফরয়্যাদফরয়্যাদ : বিচার-প্রার্থনা।,


আমরা তাদেরে রক্ষা করিব, এ যে আল্লার সাধ!


আমরা হুকুম-বর্দার তাঁর পাইয়াছি ফরমানফরমান : নির্দেশ।,


ভীত নর-নারী তরে অকাতরে দানিব মোদের প্রাণ!


বাজাই বিষাণ উড়াই নিশান ঈশান-কোণের মেঘে,


প্রেম-বৃষ্টি ও বজ্র-প্রহারে আত্মা উঠিবে জেগে!


রাজনীতি করে তৈরি মোদের কুচকাওয়াজের পথ,


এই পথ দিয়ে আসিবে দেখিয়ো আবার বিজয়-রথ।


প্রবল হওয়ার সাধ ও সাধনা যাহাদের প্রাণে আছে,


তাদেরই দুয়ারে হানা দিই আমি, আসি তাহাদেরই কাছে।


সঙ্ঘবদ্ধ হতেছে তাহারা বঙ্গভূমির কোলে,


আমি দেখিয়াছি পূর্ণচন্দ্র তাদেরই ঊর্ধ্বে দোলে!

No comments:
Write comments

Interested for our works and services?
Get more of our update !